দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ১,০৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকায় ৪০৩, ঢাকা বিভাগের বাইরে ২১৯, বরিশাল ১২৮, চট্টগ্রাম ৯৯, খুলনা ৬৮, ময়মনসিংহ ৭০, রাজশাহী ৩৪, রংপুর ৪৩ ও সিলেটে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর মোট ৩০২ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৭৪,৯৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্ট্রোক এখন শুধুই বয়স্কদের সমস্যা নয়; তরুণরাও আক্রান্ত হচ্ছেন, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ঝুঁকি বেশি। স্ট্রোক দুই ধরনের—ইস্কেমিক (রক্ত চলাচল বন্ধ) ও হেমারেজিক (রক্তনালি ছিঁড়ে রক্তপাত)। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অলস জীবনযাপন, অনিয়মিত ঘুম, শরীরচর্চার অভাব ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য তরুণদের আক্রান্ত করছে। নিরাপদ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, পর্যাপ্ত ঘুম নিন এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করুন।
নান্দাইল উপজেলার ৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার তীব্র সংকট চলছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে স্যাকমো, ফার্মাসিস্ট ও কর্মচারী অনুপস্থিত থাকেন, কিছু কেন্দ্র তালাবদ্ধও থাকে। রোগীরা চিকিৎসা ও ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকায় স্যাকমোদের সেখানেই ডিউটি করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বলেন, নিয়োগ ও ওষুধ সরবরাহ সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।
অফিসের টক্সিক সহকর্মীর কারণে পরিবেশ অস্বস্তিকর হলে নিজেকে রক্ষা করতে সীমা নির্ধারণ করুন, ড্রামায় জড়াবেন না, এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকুন। তাদের আচরণ বা কথোপকথনের নথি রাখুন। প্রয়োজন হলে বিশ্বস্ত বন্ধু, সহকর্মী বা পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলুন। যদি সমস্যা সীমা ছাড়িয়ে যায়, পেশাদারভাবে HR বা সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট করুন। সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপই নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে।
খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমালে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। পাকস্থলী হজমে ব্যাঘাত ঘটে, অ্যাসিড রিফ্লাক্সে বুক জ্বালাপোড়া হয়, বদহজম ও পেট ফাঁপা হয়। এছাড়া বিপাকক্রিয়া ধীর হওয়ায় ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাবারের পর অন্তত কয়েক ঘণ্টা শুতে না দিয়ে হজমের সময় দেওয়া উচিত, বিশেষ করে ভারী বা কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবারের পর, যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো যায়।
ছোলাভাজা প্রোটিনে সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর হলেও, ভাজার পদ্ধতি নির্ধারণ করে এর পুষ্টিগুণ। অতিরিক্ত উচ্চ তাপে ভাজলে ‘অ্যাক্রিল্যামাইড’ তৈরি হতে পারে, যা ক্যান্সার ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে ছোলা ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে খান, কম তাপে (১৬০°C কম) হালকা সোনালি রং ধরলে নামিয়ে ফেলুন। বাজারের প্যাকেটজাত ছোলাভাজায় অতিরিক্ত মসলা ও সংরক্ষণকারী থাকে, তাই বাড়িতে তৈরি করা উত্তম।
দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে কাজ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় কিছু খাবার উপকারী। গ্রিন ও ব্ল্যাক চা রক্তনালী শিথিল ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কোকো ও ৭০% ডার্ক চকলেট রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। আপেল ও বেরিতে ফ্ল্যাভানল থাকে, যা ধমনীর স্বাস্থ্য ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। লাল বা কালো আঙুর নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বাড়িয়ে ধমনীর নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
রসুন সুপারফুড হিসেবে পরিচিত এবং কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজমশক্তি ভালো থাকে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে, উচ্চ রক্তচাপ ও খারাপ কোলেস্টেরল কমে। এটি কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে, ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে যারা রসুনে অ্যালার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত।
পায়ে জ্বালাপোড়া বা বার্নিং ফিট সিনড্রোমে পায়ের তলা, গোড়ালি ও লেগে জ্বালা ও ব্যথা হয়, যা সাধারণত রাতে বেড়ে যায়। প্রধান কারণ স্নায়ু সমস্যা, ভিটামিন-B অভাব, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি বা লিভারের সমস্যা, মদ্যপান, আঁটসাঁট জুতা ও মোজা। প্রতিরোধের জন্য আরামদায়ক জুতা ও মোজা, পায়ের ব্যায়াম, ঠান্ডা সেঁক, যথাযথ ভিটামিন, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও স্নায়ুর চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের ডায়েটে চার ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আলোক চোপড়া। এগুলো হলো: ১) প্রক্রিয়াজাত মাংস, যেমন সসেজ, সালামি ও বেকন; ২) মিষ্টিজাতীয় পানীয় ও এনার্জি ড্রিঙ্ক; ৩) প্যাকেটবন্দি মিষ্টি, কুকিজ ও কেক; ৪) নোনতা খাবার, যেমন চিপস ও ভুজিয়া। এ খাবারগুলো হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর, রক্তচাপ বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে সিনিয়র স্টাফ নার্স সোহেল আহমদ ও ইমরান আহমেদ তপাদারের নেতৃত্বে ঘুস ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা ডিউটি রোস্টার, নাইট ডিউটি, আইসিইউ সিট, ট্রেনিং এবং ডোপ টেস্টে ঘুস আদায় করেন। সাধারণ নার্স, রোগীরা এতে অসহায়। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জানান, সিন্ডিকেটের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেট সদস্যরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চুলকানি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি কিছু গুরুতর রোগের সংকেত হতে পারে। লিভার, কিডনি, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, বিভিন্ন ক্যানসার এবং অটোইমিউন রোগে চুলকানি দেখা যায়। দাদ, ফুসকুড়ি, ঝিনঝিন অনুভূতি এবং চুল, ত্বক ও নখে চুলকানি বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। দীর্ঘস্থায়ী বা প্রচণ্ড চুলকানি উপেক্ষা করলে রোগের জটিলতা বাড়তে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, সমস্যা নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য।
পেপটিক আলসার বা সাধারণ ‘গ্যাস্ট্রিক’ হলো পাকস্থলীতে ক্ষত বা ঘা, যা হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি জীবাণু, ব্যথানাশক ওষুধ, ধূমপান, অ্যালকোহল ও মানসিক চাপের কারণে হয়। উপসর্গ হিসেবে খালি পেটে বা খাওয়ার পরে পেটের উপরি অংশে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। নির্ণয়ের জন্য এন্ডোস্কোপি এবং বায়োপসি প্রয়োজন। চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ও আলসার প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার হয়। ধূমপান, অ্যালকোহল, ব্যথানাশক এড়িয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ফাইবারসমৃদ্ধ সবজি স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভাপে সেদ্ধ করলে রং, স্বাদ ও ভিটামিন C ও B-কমপ্লেক্স অটুট থাকে এবং খাবার হালকা হয়। পানিতে ফোটালে সহজে বেশি পরিমাণ রান্না হয়, তবে কিছু পুষ্টি নষ্ট হয়; পানি ব্যবহার করলে তা রক্ষা করা যায়। স্টার্চযুক্ত সবজিতে ফোটানো ভালো। স্বাদ ও পুষ্টির ভারসাম্য চাইলে ভাপানো, আর নরম ও সহজপাচ্য খাবারের জন্য ফোটানো শ্রেয়।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যা ওজন বৃদ্ধি, হজম সমস্যা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান কাইলি অ্যারিনডেল পরামর্শ দেন: পরিমাণমতো খাবার খান, আঁশযুক্ত খাবার বেছে নিন, দীর্ঘ সময় ক্ষুধারোধ এড়ান, প্রক্রিয়াজাত খাবার কমান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, মনোযোগ দিয়ে ধীরে খান, দ্বিতীয়বার খাবার নেওয়ার আগে অপেক্ষা করুন। মানসিক কারণে ‘ইমোশনাল ইটিং’ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
To avail this feature, please use our app.
Click here Play Store - App Store to download.